tag:blogger.com,1999:blog-6751656864171659514.post402446289867589019..comments2022-04-11T13:36:24.018-07:00Comments on ইসলামিক অনলাইন সেন্টার: খলীফা হওয়ার শর্তাবলীমো: আবুল বাশারhttp://www.blogger.com/profile/18225336984623243378noreply@blogger.comBlogger1125tag:blogger.com,1999:blog-6751656864171659514.post-54920531415935370532015-03-19T08:16:43.296-07:002015-03-19T08:16:43.296-07:00খলিফাহকে অতিরিক্ত কিছু শর্ত আরোপ করাঃ
বায়া’হ যেহে...খলিফাহকে অতিরিক্ত কিছু শর্ত আরোপ করাঃ<br />বায়া’হ যেহেতু একধরণের চুক্তি, এতে অতিরিক্ত কিছু শর্তও সংযোজন করা যায়, এবং খলিফাহ শর্তগুলো মানতে বাধ্য, তবে অতিরিক্ত শর্তগুলো বায়া’হর মৌলিক ৭টি শর্তকে কোনভাবে ব্যাঘাত করতে পারবে না। কাজেই খলিফাহকে সাংবিধানিক পদ্ধতিতে কিছু শর্ত দ্বারা সীমাবদ্ধ করা যায়, যেমনঃ মাজলিস-উল-উম্মাহ (জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী পরামর্শ সভা) ও বিচারপতিগন কে ক্ষমতায়ন করে খলিফাহর শাসনকার্য পরিচালনাকে ভারসাম্য করা। <br /><br />অতিরিক্ত কিছু শর্ত আরোপের ব্যাপারে যে দলিল পাওয়া যায় তা হল – উসমান বিন আফফান (রাঃ) রাজি হয়েছিলেন যখন তাঁকে শাসনকার্যে আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) এর পথ অনুসরণ করার জন্য বায়া’হতে অতিরিক্ত শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। এটি ইজমা আস সাহাবা দ্বারা স্বীকৃত কারন এ ঘটনা সাহাবাদের সামনেই হয়েছিল কোন ধরনের প্রতিবাদ ছাড়াই। পুরো ঘটনাটি নিম্নরূপঃ<br />আব্দুর রাহমান (রাঃ) মদিনার বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গের মতামত অন্বেষণ করছিলেন, মদিনার প্রত্যেক মুসলিম পুরুষ ও নারীকে এক এক করে তিনি জিজ্ঞাসা করছিলেন, তিনি একজনকেও বাদ দেন নি যাকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন নি যে কাকে তারা খলিফাহ হিসেবে দেখতে চান উসমান এবং আলি’র মধ্য থেকে। কিছু লোক উসমানকে পছন্দ করলো, আর কিছু লোক আলীকে পছন্দ করলো। আব্দুর রাহমান (রাঃ) দেখলেন উসমান এবং আলী উভয়ের পক্ষে মধ্যে মতামত মোটামোটি সমান। আব্দুর রাহমান পুরুষ-নারীদের সাথে পরামর্শ করে মসজিদে মুসলিমদের তলব করলেন এবং তিনি মিম্বারে তার তোলওয়ার নিয়ে এবং “আম্মা” (এক ধরনের কাপড় যেটা রসুল্লাল্লাহ (সাঃ) তাঁকে দিয়েছিলেন) পড়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর বললেন- “হে মুসলিমরা, আমি তোমাদের প্রকাশ্যে ও গোপনে তোমাদের ইমাম প্রসঙ্গে এবং তোমরা এ দুই ব্যাক্তির (উসমান এবং আলি) সমপর্যায়ে কাওকে অবস্থান দিতে পার নি”। তারপর তিনি আলি (রা:) এর দিকে তাকিয়ে তাঁকে ডাকলেন ও বললেন “ও আলি, আমার দিকে আসো”। আলি (রাঃ) উঠে মিম্বারের কাছে আসলেন, আব্দুর রাহমান (রাঃ) আলি (রাঃ) এর হাত নিলেন এবং বললেন, “তুমি কি আল্লাহ’র কিতাব, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ, আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) এর পথে তোমার বায়াহ আমাকে দিবে”...? আলি (রাঃ) উত্তর দিলেন, “আল্লাহর কসম, না...! বরং আল্লাহ’র কিতাব, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ ও এ পথে আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ও হিকমা দিয়ে আমি তোমাকে আমার বায়া’হ দিব; আবু বকর এবং উমর এর কার্যকলাপ প্রসঙ্গে বলবো আমি নিজেকে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত করবো না, বরং নিজের মতামত দেওয়ার চেষ্টা করবো”। আব্দুর রাহমান (রাঃ) তখন তার হাত ছেঁড়ে এবং উসমান (রাঃ) কে ডাকলেন, “ও উসমান, আমার দিকে আসো”; অতঃপর আলি (রাঃ) যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন সেখানে উসমান (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং আব্দুর রাহমান (রাঃ) তাঁর হাত ধরে একই প্রশ্ন করলেন, উসমান (রাঃ) প্রত্যুত্তরে বললেন, “আল্লাহর কসম, হ্যাঁ”। তখন আব্দুর রাহমান (রাঃ) উসমান (রাঃ) এর হাত শক্ত করে ধরে মসজিদের ছাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, “ও আল্লাহ, শুন এবং দেখ; ও আল্লাহ, আমি আমার উপরে যে দায়িত্ব ছিল, সেটি উসমানের উপর অর্পণ করলাম”। তারপর, সবাই উসমানের কাঁধে বায়া’হ দিতে উদ্যত হলেন, আলি (রাঃ)ও সবাইকে ঠেলে উসমানের কাঁধে বায়া’হ দিলেন। এভাবে উসমানকে বায়া’হ দেওয়া সম্পন্ন হল।<br />শেখ তাকিউদ্দিন আন-নাবাহানি, The rulling system of islam থেকে নেওয়া।মো: আবুল বাশারhttps://www.blogger.com/profile/18225336984623243378noreply@blogger.com