আপনি কি আপনার অজান্তেই আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো
ইবাদত করছেন?
মোঃ আবুল বাশার
শিক্ষক
টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ
এই আয়াতটি পড়ুনঃ “মানুষের হিসাব নিকাশের সময় আসন্ন, কিন্তু উহারা উদাসীনতায় মুখ ফিরাইয়া রহিয়াছে।”[1] আয়াতের প্রথম অংশে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদেরকে ভয় দেখাচ্ছেন যে আমাদের হিসাব নিকাশের সময় খুবই নিকটে এবং পরের অংশে বলেছেন যে অথচ আমরা সেই হিসাব নিকাশের দিন সম্পর্কে বেখবর! আমরা যে জানিইনা যে আমাদেরকে মহান আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সামনে দাঁড়াতে হবে। এরকম কেন হল? কারণ আমরা কেন এই পৃথিবীতে এসেছি সেটা আমরা বুঝতে পারিনি।
আসুন ব্যাপারটি একটু বুঝতে চেষ্টা করি। আচ্ছা
আপনি কত গুলো প্রাণীর নাম বলুন তো? নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষনে অনেকগুলো প্রাণীর কথা চিন্তা
করেছেন। ভাবুনতো এরা কি করে সময় কাটায়? ঠিকআছে, এখন আপনারা মানুষের কথা চিন্তা করুন।
এরা কি পুরোপুরি পশুর মত নাকি তারা তাদের থেকে বিশেষভাবে আলাদা? নিশ্চয়ই বলবেন আলাদা?
হ্যাঁ, আপনার কথা ঠিক।
আচ্ছা বলুনতো একটি বানর কীভাবে সুখী হয়? খাদ্য,
নিরাপত্তা, সঙ্গী এবং বাসস্থান এই কয়টি উপাদান একটি বানরকে সুখী করতে পারে।
এখন মানুষের কথা চিন্তা করে দেখুন মানুষদেরওতো
সুখী হতে হলে উপরোক্ত এই উপকরণগুলো প্রয়োজন। সুতরাং সুখ পেতে হলে আমাদেরকে আমাদের প্রবৃত্তির
নিবৃত্তি করতে হবে।
আপনি যখন এভাবে চিন্তা করবেন তখন আর আপনি মানুষ
নন; আপনি পশু। কারণ আপনি সুখী হওয়ার উপকরণগুলো এই প্রকৃতিতে খুঁজতে থাকবেন। এর বাইরে
আর আপনার দৃষ্টি পৌছেবেনা। এভাবেই আপনি বস্তুর সন্ধানে ঘুরতে থাকবেন। কারণ আপনার সুখী
হওয়ার বা ভাল থাকার সকল উপকরণই বস্তুগত। এভাবে আপনি বস্তুর পূজারী হয়ে যাবেন।
আবার এই মানুষের মধ্যেই কেউ কেউ টাকা, পয়সা,
ধন, দৌলতের পূজা করে। আপনি বলবেন কীভাবে? কারণ যখন তার কাছে টাকা থাকে তখন খুসি হয় আর যখন টাকা না থাকে তখন বেজার হয়। এভাবেই
সে টাকার উপাসনা করে। কেউ ফ্যাশনের পূজা করে, কেউ ক্ষমতার; আবার কেউ খ্যাতির। আর মনে
রাখবেন: “আপনি যেটাকে সম্মান বা খ্যাতির সোর্স্ মনে করবেন, সেটাই আপনার ঈশ্বর বা স্রষ্টা।
এখন আমি আপনাকে প্রশ্ন করি আপনি উত্তর দেন। আপনি
কি এইসব সৃষ্টির ইবাদত করবেন, নাকি এই সবকিছু যিনি সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করবেন?
jazakallah
ReplyDeletejazakallah
ReplyDeletejazakallah
ReplyDelete