Wednesday, January 6, 2016

২০. সূরা ত্বহা বাংলা অনুবাদ লিখিত

(২০) ত্বহাঃ ১৩৫
২০. ) তোয়া-হা
২০. ) আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি
২০. ) কিন্তূ তাদেরই উপদেশের জন্য যারা ভয় করে
২০. ) এটা তাঁর কাছ থেকে অবতীর্ণ, যিনি ভূমন্ডল সমুচচ নভোমন্ডল সৃষ্টি করেছেন
২০. ) তিনি পরম দয়াময়, আরশে সমাসীন হয়েছেন
২০. ) নভোমন্ডলে, ভুমন্ডলে, এতদুভয়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং সিক্ত ভূগর্ভে যা আছে, তা তাঁরই
২০. ) যদি তুমি উচচকন্ঠেও কথা বল, তিনি তো গুপ্ত তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয়বস্তূ জানেন
২০. ) আল্লাহ্ তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য ইলাহ নেই সব সৌÍন্তদর্যমন্ডিত নাম তাঁরই
২০. ) আপনার কাছে মূসার বৃত্তান্ত পৌঁÍছেছে কি
২০.১০ ) তিনি যখন আগুন দেখলেন, তখন পরিবারবর্গকে বললেন: তোমরা এখানে অবস্থান কর আমি আগুন দেখেছি সম্ভবত: আমি তা থেকে তোমাদের কাছে কিছু আগুন জালিয়ে আনতে পারব অথবা আগুনে পৌÍছে পথের সন্ধান পাব
২০.১১ ) অত:পর যখন তিনি আগুনের কাছে পৌÍছলেন, তখন আওয়াজ আসল হে মূসা,
২০.১২ ) আমিই তোমার পালনকর্তা, অতএব তুমি জুতা খুলে ফেল, তুমি পবিত্র উপত্যকা তুয়ায় রয়েছ
২০.১৩ ) এবং আমি তোমাকে মনোনীত করেছি, অতএব যা প্রত্যাদেশ করা হচেছ, তা শুনতে থাক
২০.১৪ ) আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার ¥রণার্থে নামায কায়েম কর
২০.১৫ ) কেয়ামত অবশ্যই আসবে, আমি তা গোপন রাখতে চাই; যাতে প্রত্যেকেই তার কর্মানুযায়ী ফল লাভ করে
২০.১৬ ) সুতরাং যে ব্যক্তি কেয়ামতে বিশ্বাস রাখে না এবং নিজ খাহেশের অনুসরণ করে, সে যেন তোমাকে তা থেকে নিবৃত্ত না করে নিবৃত্ত হলে তুমি ধবংস হয়ে যাবে
২০.১৭ ) হে মূসা, তোমার ডানহাতে ওটা কি?
২০.১৮ ) তিনি বললেন: এটা আমার লাঠি, আমি এর উপর ভর দেই এবং এর দ্বারা আমার ছাগপালের জন্যে বৃক্ষপত্র ঝেড়ে ফেলি এবং এতে আমার অন্যান্য কাজ চলে
২০.১৯ ) আল্লাহ্ বললেন: হে মূসা, তুমি ওটা নিক্ষেপ কর
২০.২০ ) অত:পর তিনি তা নিক্ষেপ করলেন, অমনি তা সাপ হয়ে ছুটাছুটি করতে লাগল
২০.২১ ) আল্লাহ্ বললেন: তুমি তাকে ধর এবং ভয় করো না, আমি এখনি একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে দেব
২০.২২ ) তোমার হাত বগলে রাখ, তা বের হয়ে আসবে নির্মল উজ্জ্বল হয়ে অন্য এক নিদর্শন রূপে; কোন দোষ ছাড়াই
২০.২৩ ) এটা এজন্যে যে, আমি আমার বিরাট নিদর্শনাবলীর কিছু তোমাকে দেখাই
২০.২৪ ) ফেরাউনের নিকট যাও, সে দারুণ উদ্ধত হয়ে গেছে
২০.২৫ ) মূসা বললেন: হে আমার পালনকর্তা আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন
২০.২৬ ) এবং আমার কাজ সহজ করে দিন
২০.২৭ ) এবং আমার জিহবা থেকে জড়তা দূর করে দিন
২০.২৮ ) যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে
২০.২৯ ) এবং আমার পরিবারবর্গের মধ্য থেকে আমার একজন সাহায্যকারী করে দিন
২০.৩০ ) আমার ভাই হারুনকে
২০.৩১ ) তার মাধ্যমে আমার কোমর মজবুত করুন
২০.৩২ ) এবং তাকে আমার কাজে অংশীদার করুন
২০.৩৩ ) যাতে আমরা বেশী করে আপনার পবিত্রতা মহিমা ঘোষনা করতে পারি
২০.৩৪ ) এবং বেশী পরিমাণে আপনাকে ¥রণ করতে পারি
২০.৩৫ ) আপনি তো আমাদের অবস্থা সবই দেখছেন
২০.৩৬ ) আল্লাহ্ বললেন: হে মূসা, তুমি যা চেয়েছ তা তোমাকে দেয়া হল
২০.৩৭ ) আমি তোমার প্রতি আরও একবার অনুগ্রহ করেছিলাম
২০.৩৮ ) যখন আমি তোমার মাতাকে নির্দেশ দিয়েছিলাম যা অত:পর বর্ণিত হচেছ
২০.৩৯ ) যে, তুমি (মূসাকে) সিন্তদুকে রাখ, অত:পর তা দরিয়ায় ভাসিয়ে দাও, অত:পর দরিয়া তাকে তীরে ঠেলে দেবে তাকে আমার শক্র তার শক্র উঠিয়ে নেবে আমি তোমার প্রতি মহব্বত সঞ্চারিত করেছিলাম আমার নিজের পক্ষ থেকে, যাতে তুমি আমার দৃষ্টির সামনে প্রতি পালিত হও
২০.৪০ ) যখন তোমার ভগিনী এসে বলল: আমি কি তোমাদেরকে বলে দেব কে তাকে লালন পালন করবে অত:পর আমি তোমাকে তোমার মাতার কাছে ফিরিয়ে দিলাম, যাতে তার চক্ষু শীতল হয় এবং দু: না পায় তুমি এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে, অত:পর আমি তোমাকে এই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেই; আমি তোমাকে অনেক পরীক্ষা করেছি অত:পর তুমি কয়েক বছর মাদইয়ান বাসীদের মধ্যে অবস্থান করেছিলে; হে মূসা, অত:পর তুমি নির্ধারিত সময়ে এসেছ
২০.৪১ ) এবং আমি তোমাকে আমার নিজের জন্য তৈরী করে নিয়েছি
২০.৪২ ) তুমি তোমার ভাই আমার নিদর্শনাবলীসহ যাও এবং আমার ¥রণে শৈথিল্য করো না
২০.৪৩ ) তোমরা উভয়ে ফেরআউনের কাছে যাও সে খুব উদ্ধত হয়ে গেছে
২০.৪৪ ) অত:পর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে
২০.৪৫ ) তারা বলল: হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা আশঙ্কা করি যে, সে আমাদের প্রতি জুলুম করবে কিংবা উত্তেজিত হয়ে উঠবে
২০.৪৬ ) আল্লাহ্ বললেন: তোমরা ভয় করো না, আমি তোমাদের সাথে আছি, আমি শুনি দেখি
২০.৪৭ ) অতএব তোমরা তার কাছে যাও এবং বল: আমরা উভয়েই তোমার পালনকর্তার প্রেরিত রসূল, অতএব আমাদের সাথে বনী ইসরাঈলকে যেতে দাও এবং তাদেরকে নিপীড়ন করো না আমরা তোমার পালনকর্তার কাছ থেকে নিদর্শন নিয়ে তোমার কাছে আগমন করেছি এবং যে সৎপথ অনুসরণ করে, তার প্রতি শান্তি
২০.৪৮ ) আমরা ওহী লাভ করেছি যে, যে ব্যক্তি মিথ্যারোপ করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, তার উপর আযাব পড়বে
২০.৪৯ ) সে বলল: তবে হে মূসা, তোমাদের পালনকর্তা কে?
২০.৫০ ) মূসা বললেন: আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তূকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অত:পর পথপ্রদর্শন করেছেন
২০.৫১ ) ফেরাউন বলল: তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি?
২০.৫২ ) মূসা বললেন: তাদের খবর আমার পালনকর্তার কাছে লিখিত আছে আমার পালনকর্তা ভ্রান্ত হন না এং বি¯মৃতও হন না
২০.৫৩ ) তিনি তোমাদের জন্যে পৃথিবীকে শয্যা করেছেন এবং তাতে চলার পথ করেছেন, আকাশ থেকে বৃষ্টি বর্ষণ করেছেন এবং তা দ্বারা আমি বিভিন্ন প্রকার উদ্ভিদ উৎপন্ন করেছি
২০.৫৪ ) তোমরা আহার কর এবং তোমাদের চতু¯পদ জন্তূ চরাও নিশ্চয় এতে বিবেক বানদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে
২০.৫৫ ) মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব
২০.৫৬ ) আমি ফেরাউনকে আমার সব নিদর্শন দেখিয়ে দিয়েছি, অত:পর সে মিথ্যা আরোপ করেছে এবং অমান্য করেছে
২০.৫৭ ) সে বলল: হে মূসা, তুমি কি যাদুর জোরে আমাদেরকে দেশ থেকে বহি®কার করার জন্যে আগমন করেছ?
২০.৫৮ ) অতএব, আমরাও তোমার মোকাবেলায় তোমার নিকট অনুরূপ যাদু উপস্থিত করব সুতরাং আমাদের তোমার মধ্যে একটি ওয়াদার দিন ঠিক কর, যার খেলাফ আমরাও করব না এবং তুমিও করবে না একটি পরি®কার প্রান্তরে
২০.৫৯ ) মূসা বলল: তোমাদের ওয়াদার দিন উৎসবের দিন এবং পূর্বাহেƒ লোকজন সমবেত হবে
২০.৬০ ) অত:পর ফেরাউন প্রস্থান করল এবং তার সব কলাকৌÍশল জমা করল অত:পর উপ¯িথত হল
২০.৬১ ) মূসা (:) তাদেরকে বললেন: দুর্ভাগ্য তোমাদের; তোমরা আল্লাহ্র প্রতি মিথ্যা আরোপ করো না তাহলে তিনি তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ধবংস করে দেবেন যে মিথ্যা উদভাবন করে, সেই বিফল মনোরথ হয়েছে
২০.৬২ ) অত:পর তারা তাদের কাজে নিজেদের মধ্যে বিতর্ক করল এবং গোপনে পরামর্শ করল
২০.৬৩ ) তারা বলল: এই দুইজন নিশ্চিতই যাদুকর, তারা তাদের যাদু দ্বারা তোমাদেরকে তোমাদের দেশ থেকে বহিস্কার করতে চায় এবং তোমাদের উৎকৃষ্ট জীবন ব্যবস্থা রহিত করতে চায়
২০.৬৪ ) অতএব, তোমরা তোমাদের কলাকৌÍশল সুসংহত কর, অত:পর সারিবদ্ধ হয়ে আস আজ যে জয়ী হবে, সেই সফলকাম হবে
২০.৬৫ ) তারা বলল: হে মূসা, হয় তুমি নিক্ষেপ কর, না হয় আমরা প্রথমে নিক্ষেপ করি
২০.৬৬ ) মূসা বললেন: বরং তোমরাই নিক্ষেপ কর তাদের যাদুর প্রভাবে হঠাৎ তাঁর মনে হল, যেন তাদের রশিগুলো লাঠিগুলো চুটাছুটি করছে
২০.৬৭ ) অত:পর মূসা মনে মনে কিছুটা ভীতি অনুভব করলেন
২০.৬৮ ) আমি বললাম: ভয় করো না, তুমি বিজয়ী হবে
২০.৬৯ ) তোমার ডান হাতে যা আছে তুমি তা নিক্ষেপ কর এটা যা কিছু তারা করেছে তা গ্রাস করে ফেলবে তারা যা করেছে তা তো কেবল যাদুকরের কলাকৌÍশল যাদুকর যেখানেই থাকুক, সফল হবে না
২০.৭০ ) অত:পর যাদুকররা সেজদায় পড়ে গেল তারা বলল: আমরা হারুন মূসার পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম
২০.৭১ ) ফেরাউন বলল: আমার অনুমতি দানের পূর্বেই? তোমরা কি তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলে; দেখছি সেই তোমাদের প্রধান, সে তোমাদেরকে যাদু শিক্ষা দিয়েছে অতএব আমি অবশ্যই তোমাদের হস্তপদ বিপরীত দিক থেকে কর্তন করব এবং আমি তোমাদেরকে খর্জুর বৃক্ষের কান্ডে শূলে চড়াব এবং তোমরা নিশ্চিত রূপেই জানতে পারবে আমাদের মধ্যে কার আযাব কঠোরতর এবং অধিক্ষণ স্থায়ী
২০.৭২ ) যাদুকররা বলল: আমাদের কাছে যে, সু¯পষ্ট প্রমাণ এসেছে তার উপর এবং যিনি আমাদের কে সৃষ্টি করেছেন, তাঁর উপর আমরা কিছুতেই তোমাকে প্রাধান্য দেব না অতএব, তুমি যা ইচছা করতে পার তুমি তো শুধু এই পার্থিব জীবনেই যা করার করবে
২০.৭৩ ) আমরা আমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি যাতে তিনি আমাদের পাপ এবং তুমি আমাদেরকে যে যাদু করতে বাধ্য করেছ, তা মার্জনা করেন আল্লাহ্ শ্রেন্ঠ চিরস্থায়ী
২০.৭৪ ) নিশ্চয়ই যে তার পালনকর্তার কাছে অপরাধী হয়ে আসে, তার জন্য রয়েছে জাহান্নাম সেখানে সে মরবে না এবং বাঁচবেও না
২০.৭৫ ) আর যারা তাঁর কাছে আসে এমন ঈমানদার হয়ে যায় সৎকর্ম ¤পাদন করেছে, তাদের জন্যে রয়েছে সুউচচ মর্তবা
২০.৭৬ ) বসবাসের এমন পু®েপাদ্যান রয়েছে যার তলদেশে দিয়ে নির্ঝরিণীসমূহ প্রবাহিত হয় সেখানে তারা চিরকাল থাকবে এটা তাদেরই পুরস্কার, যারা পবিত্র হয়
২০.৭৭ ) আমি মূসা প্রতি এই মর্মে ওহী করলাম যে, আমার বান্তদাদেরকে নিয়ে রাত্রিযোগে বের হয়ে যাও এবং তাদের জন্যে সমুদ্রে শু®কপথ নির্মাণ কর পেছন থেকে এসে তোমাদের ধরে ফেলার আশঙ্কা করো না এবং পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয় করো না
২০.৭৮ ) অত:পর ফেরাউন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে তাদের পশ্চাদ্ধাবন করল এবং সমুদ্র তাদেরকে ¤পূর্ণরূপে নিমজ্জিত করল
২০.৭৯ ) ফেরআউন তার সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করেছিল এবং সৎপথ দেখায়নি
২০.৮০ ) হে বনী-ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে তোমাদের শক্রুর কবল থেকে উদ্ধার করেছি, তুর পাহাড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দান করেছি এবং তোমাদের কাছে ্ৗÍ৮২১৬;মান্না' ্ৗÍ৮২১৬;সালওয়া' নাযিল করেছি
২০.৮১ ) বলেছি: আমার দেয়া পবিত্র বস্তূসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না, তা হলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং যার উপর আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস হয়ে যায়
২০.৮২ ) আর যে তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অত:পর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার প্রতি অবশ্যই ক্ষমাশীল
২০.৮৩ ) হে মূসা, তোমার সম্প্রদায়কে পেছনে ফেলে তুমি ত্বরা করলে কেন?
২০.৮৪ ) তিনি বললেন: এই তো তারা আমার পেছনে আসছে এবং হে আমার পালনকর্তা, আমি তাড়াতাড়ি তোমার কাছে এলাম, যাতে তুমি সন্তূষ্ট হও
২০.৮৫ ) বললেন: আমি তোমার সম্প্রদায়কে পরীক্ষা করেছি তোমার পর এবং সামেরী তাদেরকে পথভ্রষ্ট করেছে
২০.৮৬ ) অত:পর মূসা তাঁর সম্প্রদায়ের কাছে ফিরে গেলেন ক্রদ্ধ অনুতপ্ত অবস্থায় তিনি বললেন: হে আমার সম্প্রদায়, তোমাদের পালনকর্তা কি তোমাদেরকে একটি উত্তম প্রতিশ্রুতি দেননি? তবে কি প্রতিশ্রুতির সময়কাল তোমাদের কাছে দীর্ঘ হয়েছে, না তোমরা চেয়েছ যে, তোমাদের উপর তোমাদের পালনকর্তার ক্রোধ নেমে আসুক, যে কারণে তোমরা আমার সাথে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ করলে?
২০.৮৭ ) তারা বলল: আমরা তোমার সাথে কৃত ওয়াদা ¯¦চছায় ভঙ্গ করিনি; কিন্তূ আমাদের উপর ফেরউনীদের অলংকারের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল অত:পর আমরা তা নিক্ষেপ করে দিয়েছি এমনি ভাবে সামেরীও নিক্ষেপ করেছে
২০.৮৮ ) অত:পর সে তাদের জন্য তৈরী করে বের করল একটি গো-বৎস, একটা দেহ, যার মধ্যে গরুর শব্দ ছিল তারা বলল: এটা তোমাদের উপাস্য এবং মূসার উপাস্য, অত:পর মূসা ভুলে গেছে
২০.৮৯ ) তারা কি দেখে না যে, এটা তাদের কোন কথার উত্তর দেয় না এবং তারে কোন ক্ষতি উপকার করার ক্ষমতাও রাখে না?
২০.৯০ ) হারুন তাদেরকে পুর্বেই বলেছিলেন: হে আমার কওম, তোমরা তো এই গো-বৎস দ্বারা পরীক্ষায় নিপতিত হয়েছ এবং তোমাদের পালনকর্তা দয়াময় অতএব, তোমরা আমার অনুসরণ কর এবং আমার আদেশ মেনে চল
২০.৯১ ) তারা বলল: মূসা আমাদের কাছে ফিরে আসা পর্যন্ত আমরা সদাসর্বদা এর সাথেই সংযুক্ত হয়ে বসে থাকব
২০.৯২ ) মূসা বললেন: হে হারুন, তুমি যখন তাদেরকে পথ ভ্রষ্ট হতে দেখলে, তখন তোমাকে কিসে নিবৃত্ত করল ?
২০.৯৩ ) আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করা থেকে? তবে তুমি কি আমার আদেশ অমান্য করেছ?
২০.৯৪ ) তিনি বললেন: হে আমার জননী-তনয়, আমার শ্মশ্রু মাথার চুল ধরে আকর্ষণ করো না; আমি আশঙ্কা করলাম যে, তুমি বলবে: তুমি বনী-ইসরাঈলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছ এবং আমার কথা ¥রণে রাখনি
২০.৯৫ ) মূসা বললেন হে সামেরী, এখন তোমার ব্যাপার কি?
২০.৯৬ ) সে বলল: আমি দেখলাম যা অন্যেরা দেখেনি অত:পর আমি সেই প্রেরিত ব্যক্তির পদচিহেƒ নীচ থেকে এক মুঠি মাটি নিয়ে নিলাম অত:পর আমি তা নিক্ষেপ করলাম আমাকে আমার মন এই মন্ত¿ণাই দিল
২০.৯৭ ) মূসা বললেন: দূর , তোর জন্য সারা জীবন শাস্তিই রইল যে, তুই বলবি; আমাকে ¯পর্শ করো না, এবং তোর জন্য একটি নির্দিষ্ট ওয়াদা আছে, যার ব্যতিক্রম হবে না তুই তোর সেই ইলাহের প্রতি লক্ষ্য কর, যাকে তুই ঘিরে থাকতি আমরা সেটি জালিয়ে দেবই অত:পর একে বিক্ষিপ্ত করে সাগরে ছড়িয়ে দেবই
২০.৯৮ ) তোমাদের ইলাহ তো কেবল আল্লাহ্ই, যিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই সব বিষয় তাঁর জ্ঞানের পরিধিভুক্ত
২০.৯৯ ) এমনিভাবে আমি পূর্বে যা ঘটেছে, তার সংবাদ আপনার কাছে বর্ণনা করি আমি আমার কাছ থেকে আপনাকে দান করেছি পড়ার গ্রন্ত
২০.১০০ ) যে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, সে কেয়ামতের দিন বোঝা বহন করবে
২০.১০১ ) তারা তাতে চিরকাল থাকবে এবং কেয়ামতের দিন এই বোঝা তাদের জন্যে মন্তদ হবে
২০.১০২ ) যেদিন সিঙ্গায় ফূৎকার দেয়া হবে, সেদিন আমি অপরাধীদেরকে সমবেত করব নীল চক্ষু অবস্থায়
২০.১০৩ ) তারা চুপিসারে পর¯পরে বলাবলি করবে: তোমরা মাত্র দশ দিন অবস্থান করেছিলে
২০.১০৪ ) তারা কি বলে তা আমি ভালোভাবে জানি তাদের মধ্যে যে, অপেক্ষাকৃত উত্তম পথের অনুসারী সে বলবে: তোমরা মাত্র একদিন অবস্থান করেছিলে
২০.১০৫ ) তারা আপনাকে পাহাড় ¤পর্কে প্রশ্ন করা অতএব, আপনি বলুন: আমার পালনকর্তা পহাড়সমূহকে সমূলে উৎপাটন করে বিক্ষিপ্ত করে দিবেন
২০.১০৬ ) অত:পর পৃথিবীকে মসৃণ সমতলভূমি করে ছাড়বেন
২০.১০৭ ) তুমি তাতে মোড় টিলা দেখবে না
২০.১০৮ ) সেই দিন তারা আহবানকারীর অনুসরণ করবে, যার কথা এদিক-সেদিক হবে না এবং দয়াময় আল্লাহ্র ভয়ে সব শব্দ ক্ষীণ হয়ে যাবে সুতরাং মৃদু গুঞ্জন ব্যতীত তুমি কিছুই শুনবে না
২০.১০৯ ) দয়াময় আল্লাহ্ যাকে অনুমতি দেবেন এবং যার কথায় সন্তূষ্ট হবেন সে ছাড়া কারও সুপারিশ সেদিন কোন উপকারে আসবে না
২০.১১০ ) তিনি জানেন যা কিছু তাদের সামনে পশ্চাতে আছে এবং তারা তাকে জ্ঞান দ্বারা আয়ত্ত করতে পারে না
২০.১১১ ) সেই চিরঞ্জীব চিরস্থায়ীর সামনে সব মুখমন্ডল অবনমিত হবে এবং সে ব্যর্থ হবে যে জুলুমের বোঝা বহন করবে
২০.১১২ ) যে ঈমানদার অবস্থায় সৎকর্ম ¤পাদন করে, সে জুলুম ক্ষতির আশঙ্কা করবে না
২০.১১৩ ) এমনিভাবে আমি আরবী ভাষায় কোরআন নাযিল করেছি এবং এতে নানাভাবে সতর্কবাণী ব্যক্ত করেছি, যাতে তারা আল্লাহ্ভীরু হয় অথবা তাদের অন্তরে চিন্তার খোরাক যোগায়
২০.১১৪ ) সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ্ মহান আপনার প্রতি আল্লাহ্র ওহী ¤পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুন: হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন
২০.১১৫ ) আমি ইতিপূর্বে আদমকে নির্দেশ দিয়েছিলাম অত:পর সে ভুলে গিয়েছিল এবং আমি তার মধ্যে দৃঢ়তা পাইনি
২০.১১৬ ) যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম: তোমরা আদমকে সেজদা কর, তখন ইবলীস ব্যতীত সবাই সেজদা করল সে অমান্য করল
২০.১১৭ ) অত:পর আমি বললাম: হে আদম, তোমার তোমার স্ত্রীর শত্রু, সুতরাং সে যেন বের করে না দেয় তোমাদের জান্নাত থেকে তাহলে তোমরা কষ্টে পতিত হবে
২০.১১৮ ) তোমাকে এই দেয়া হল যে, তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীণ হবে না
২০.১১৯ ) এবং তোমার পিপাসাও হবে না এবং রৌÍদ্রেও কষ্ট পাবে না
২০.১২০ ) অত:পর শয়তান তাকে কুমন্ত¿না দিল, বলল: হে আদম, আমি কি তোমাকে বলে দিব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ্বর রাজত্বের কথা?
২০.১২১ ) অত:পর তারা উভয়েই এর ফল ভক্ষণ করল, তখন তাদের সামনে তাদের লজ্জাস্থান খুলে গেল এবং তারা জান্নাতের বৃক্ষ-পত্র দ্বারা নিজেদেরকে আবৃত করতে শুরু করল আদম তার পালনকর্তার অবাধ্যতা করল, ফলে সে পথ ভ্রন্ঠ হয়ে গেল
২০.১২২ ) এরপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি মনোযোগী হলেন এবং তাকে সুপথে আনয়ন করলেন
২০.১২৩ ) তিনি বললেন: তোমরা উভয়েই এখান থেকে এক সঙ্গে নেমে যাও তোমরা একে অপরের শত্রু এরপর যদি আমার পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে হেদায়েত আসে, তখন যে আমার বর্ণিত পথ অনুসরণ করবে, সে পথভ্রন্ঠ হবে না এবং কষ্টে পতিত হবে না
২০.১২৪ ) এবং যে আমার ¥রণ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে, তার জীবিকা সংকীর্ণ হবে এবং আমি তাকে কেয়ামতের দিন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করব
২০.১২৫ ) সে বলবে: হে আমার পালনকর্তা আমাকে কেন অন্ধ অবস্থায় উত্থিত করলেন? আমি তো চক্ষুমান ছিলাম
২০.১২৬ ) আল্লাহ্ বলবেন: এমনিভাবে তোমার কাছে আমার আয়াতসমূহ এসেছিল, অত:পর তুমি সেগুলো ভুলে গিয়েছিলে তেমনিভাবে আজ তোমাকে ভুলে যাব
২০.১২৭ ) এমনিভাবে আমি তাকে প্রতিফল দেব, যে সীমালঘন করে এবং পালনকর্তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন না করে তার পরকালের শাস্তি কঠোরতর এবং অনেক স্থায়ী
২০.১২৮ ) আমি এদের পূর্বে অনেক সম্প্রদায়কে ধবংস করেছি যাদের বাসভুমিতে এরা বিচরণ করে, এটা কি এদেরকে সৎপথ প্রদর্শন করল না? নিশ্চয় এতে বুদ্ধিমানদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে
২০.১২৯ ) আপনার পালনকর্তার পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত এবং একটি কাল নির্দিষ্ট না থাকলে শাস্তি অবশ্যম্ভাবী হয়ে যেত
২০.১৩০ ) সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা মহিমা ঘোষনা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা মহিমা ঘোষনা করুন রাত্রির কিছু অংশ দিবাভাগে, সম্ভবত: তাতে আপনি সন্তূষ্ট হবেন
২০.১৩১ ) আমি এদের বিভিন্ন প্রকার লোককে পরীক্ষা করার জন্যে পার্থিবজীবনের সৌÍন্তদর্য ¯¦রূপ ভোগ-বিলাসের যে উপকরণ দিয়েছি, আপনি সেই সব বস্তূর প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করবেন না আপনার পালনকর্তার দেয়া রিযিক উৎকৃষ্ট অধিক স্থায়ী
২০.১৩২ ) আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ্ ভীরুতার পরিণাম শুভ
২০.১৩৩ ) এরা বলে: সে আমাদের কাছে তার পালনকর্তার কাছ থেকে কোন নিদর্শন আনয়ন করে না কেন? তাদের কাছে কি প্রমাণ আসেনি, যা পূর্ববর্তী গ্রন্তসমূহে আছে?
২০.১৩৪ ) যদি আমি এদেরকে ইতিপূর্বে কোন শাস্তি দ্বারা ধ্বংস করতাম, তবে এরা বলত: হে আমাদের পালনকর্তা, আপনি আমাদের কাছে একজন রসূল প্রেরণ করলেন না কেন? তাহলে তো আমরা অপমানিত হেয় হওয়ার পূর্বেই আপনার নিদর্শন সমূহ মেনে চলতাম

২০.১৩৫ ) বলুন, প্রত্যেকেই পথপানে চেয়ে আছে, সুতরাং তোমরাও পথপানে চেয়ে থাক অদূর ভবিষ্যতে তোমরা জানতে পারবে কে সরল পথের পথিক এবং কে সৎপথ প্রাপ্ত হয়েছে

No comments:

Post a Comment