(১৯)
মারইয়ামঃ ৯৮
১৯.১ ) কাফ-হা-ইয়া-আইন-সাদ
১৯.২ ) এটা আপনার পালনকর্তার অনুগ্রহের বিবরণ তাঁর বান্তদা যাকারিয়ার প্রতি।
১৯.৩ ) যখন সে তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করেছিল নিভৃতে।
১৯.৪ ) সে বলল: হে আমার পালনকর্তা আমার অস্থি বয়স-ভারাবনত হয়েছে; বার্ধক্যে মস্তক সুশুভ্র হয়েছে; হে আমার পালনকর্তা! আপনাকে ডেকে আমি কখনও বিফলমনোরথ হইনি।
১৯.৫ ) আমি ভয় করি আমার পর আমার ¯¦গোত্রকে এবং ্ আমার স্ত্রী বন্ধ্যা; কাজেই আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাকে এক জন কর্তব্য পালনকারী দান করুন।
১৯.৬ ) সে আমার স্থলাভিষিক্ত হবে ইয়াকুব বংশের এবং হে আমার পালনকর্তা, তাকে করুন সন্তোষজনক।
১৯.৭ ) হে যাকারিয়া, আমি তোমাকে এক পুত্রের সুসংবাদ দিচিছ, তার নাম হবে ইয়াহইয়া। ইতিপূর্বে
এই নামে আমি কারও নাম করণ করিনি।
১৯.৮ ) সে বলল: হে আমার পালনকর্তা কেমন করে আমার পুত্র হবে অথচ আমার স্ত্রী যে বন্ধ্যা, আর আমিও যে বার্ধক্যের শেষ প্রান্তে উপনীত।
১৯.৯ ) তিনি বললেন: এমনিতেই হবে। তোমার
পালনকর্তা বলে দিয়েছেন: এটা আমার পক্ষে সহজ। আমি
তো পুর্বে তোমাকে সৃষ্টি করেছি এবং তুমি কিছুই ছিলে না।
১৯.১০ ) সে বলল: হে আমার পালনকর্তা, আমাকে একটি নির্দশন দিন। তিনি
বললেন তোমার নিদর্শন এই যে, তুমি সুস্থ অবস্থায় তিন দিন মানুষের সাথে কথাবার্তা বলবে না।
১৯.১১ ) অত:পর সে কক্ষ থেকে বের হয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে এল এবং ইঙ্গিতে তাদেরকে সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহকে স¥রণ করতে বলল:
১৯.১২ ) হে ইয়াহইয়া দৃঢ়তার সাথে এই গ্রন্ত’ ধারণ কর। আমি
তাকে শৈশবেই বিচারবুদ্ধি দান করেছিলাম।
১৯.১৩ ) এবং নিজের পক্ষ থেকে আগ্রহ ও পবিত্রতা দিয়েছি। সে
ছিল পরহেযগার।
১৯.১৪ ) পিতা-মাতার অনুগত এবং সে উদ্ধত, নাফরমান ছিল না।
১৯.১৫ ) তার প্রতি শান্তি-যেদিন সে জন্মগ্রহণ করে এবং যেদিন মৃত্যুবরণ করবে এবং যেদিন জীবিতাবস্থায় পুনরুত্থিত হবে।
১৯.১৬ ) এই কিতাবে মারইয়ামের কথা বর্ণনা করুন, যখন সে তার পরিবারের লোকজন থেকে পৃথক হয়ে পূর্বদিকে এক স্থানে আশ্রয় নিল।
১৯.১৭ ) অত:পর তাদের থেকে নিজেকে আড়াল করার জন্যে সে পর্দা করলো। অত:পর আমি তার কাছে আমার রূহ প্রেরণ করলাম, সে তার নিকট পুর্ণ মানবাকৃতিতে আতœপ্রকাশ করল।
১৯.১৮ ) মারইয়াম বলল: আমি তোমা থেকে দয়াময়ের আশ্রয় প্রার্থনা করি যদি তুমি আল্লাহ্ভীরু হও।
১৯.১৯ ) সে বলল: আমি তো শুধু তোমার পালনকর্তা প্রেরিত, যাতে তোমাকে এক পবিত্র পুত্র দান করে যাব।
১৯.২০ ) মরিইয়াম বলল: কিরূপে আমার পুত্র হবে, যখন কোন মানব আমাকে ¯পর্শ করেনি এবং আমি ব্যভিচারিণীও কখনও ছিলাম না ?
১৯.২১ ) সে বলল: এমনিতেই হবে। তোমার
পালনকর্তা বলেছেন, এটা আমার জন্যে সহজ সাধ্য এবং আমি তাকে মানুষের জন্যে একটি নিদর্শন ও আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহ ¯¦রূপ করতে চাই। এটা
তো এক স্থিরীকৃত ব্যাপার।
১৯.২২ ) অত:পর তিনি গর্ভে সন্তান ধারণ করলেন এবং তৎসহ এক দূরবর্তী স্থানে চলে গেলেন।
১৯.২৩ ) প্রসব বেদনা তাঁকে এক খেজুর বৃক্ষ-মূলে আশ্রয় নিতে বাধ্য করল। তিনি
বললেন: হায়, আমি যদি কোনরূপে এর পূর্বে মরে যেতাম এবং মানুষের ¯মৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে, যেতাম!
১৯.২৪ ) অত:পর ফেরেশতা তাকে নিম্নদিক থেকে আওয়ায দিলেন যে, তুমি দু:খ করো না। তোমার
পালনকর্তা তোমার পায়ের তলায় একটি নহর জারি করেছেন।
১৯.২৫ ) আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।
১৯.২৬ ) যখন আহার কর, পান কর এবং চক্ষু শীতল কর। যদি
মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ, তবে বলে দিও: আমি আল্লাহ্র উদ্দেশে রোযা মানত করছি। সুতরাং
আজ আমি কিছুতেই কোন মানুষের সাথে কথা বলব না।
১৯.২৭ ) অত:পর তিনি সন্তানকে নিয়ে তার সম্প্রদায়ের কাছে উপস্থিত হলেন। তারা
বলল: হে মারইয়াম, তুমি একটি অঘটন ঘটিয়ে বসেছ।
১৯.২৮ ) হে হারূণ-ভাগিনী, তোমার পিতা অসৎ ব্যক্তি ছিলেন না এবং তোমার মাতাও ছিল না ব্যভিচারিনী।
১৯.২৯ ) অত:পর তিনি হাতে সন্তানের দিকে ইঙ্গিত করলেন। তারা
বলল: যে কোলের শিশু তার সাথে আমরা কেমন করে কথা বলব?
১৯.৩০ ) সন্তান বলল: আমি তো আল্লাহ্র দাস। তিনি
আমাকে কিতাব দিয়েছেন এবং আমাকে নবী করেছেন।
১৯.৩১ ) আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি
আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায ও যাকাত আদায় করতে।
১৯.৩২ ) এবং জননীর অনুগত থাকতে এবং আমাকে তিনি উদ্ধত ও হতভাগ্য করেননি।
১৯.৩৩ ) আমার প্রতি সালাম যেদিন আমি জন্মগ্রহণ করেছি, যেদিন মৃত্যুবরণ করব এবং যেদিন পুনরুজ্জীবিত হয়ে উত্থিত হব।
১৯.৩৪ ) এই মারইয়ামের পুত্র ঈসা। সত্যকথা,
যে স¤পর্কে লোকেরা বিতর্ক করে।
১৯.৩৫ ) আল্লাহ্ এমন নন যে, সন্তান গ্রহণ করবেন, তিনি পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা, তিনি যখন কোন কাজ করা সিদ্ধান্ত করেন, তখন একথাই বলেন: হও এবং তা হয়ে যায়।
১৯.৩৬ ) তিনি আরও বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ্ আমার পালনকর্তা ও তোমাদের পালনকর্তা। অতএব,
তোমরা তার এবাদত কর। এটা
সরল পথ।
১৯.৩৭ ) অত:পর তাদের মধ্যে দলগুলো পৃথক পৃথক পথ অবল¤¦ন করল। সুতরাং
মহাদিবস আগমনকালে কাফেরদের জন্যে ধবংস।
১৯.৩৮ ) সেদিন তারা কি চমৎকার শুনবে এবং দেখবে, যেদিন তারা আমার কাছে আগমন করবে। কিন্তূ
আজ জালেমরা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে রয়েছে।
১৯.৩৯ ) আপনি তাদেরকে পরিতাপের দিবস স¤পর্কে হুশিয়ার করে দিন যখন সব ব্যাপারের মীমাংসা হয়ে যাবে। এখন
তারা অনবধানতায় আছে এবং তারা বিশ্বাস স্থাপন করছে না।
১৯.৪০ ) আমিই চুড়ান্ত মালিকানার অধিকারী হব পৃথিবীর এবং তার উপর যারা আছে তাদের এবং আমারই কাছে তারা প্রত্যাবর্তিত হবে।
১৯.৪১ ) আপনি এই কিতাবে ইব্রাহীমের কথা বর্ণনা করুন। নিশ্চয়
তিনি ছিলেন সত্যবাদী, নবী।
১৯.৪২ ) যখন তিনি তার পিতাকে বললেন: হে আমার পিতা, যে শোনে না, দেখে না এবং তোমার কোন উপকারে আসে না, তার এবাদত কেন কর?
১৯.৪৩ ) হে আমার পিতা, আমার কাছে এমন জ্ঞান এসেছে; যা তোমার কাছে আসেনি, সুতরাং আামার অনুসরণ কর, আমি তোমাকে সরল পথ দেখাব।
১৯.৪৪ ) হে আমার পিতা, শয়তানের এবাদত করো না। নিশ্চয়
শয়তান দয়াময়ের অবাধ্য।
১৯.৪৫ ) হে আমার পিতা, আমি আশঙ্কা করি, দয়াময়ের একটি আযাব তোমাকে ¯পর্শ করবে, অত:পর তুমি শয়তানের সঙ্গী হয়ে যাবে।
১৯.৪৬ ) পিতা বলল: যে ইব্রাহীম, তুমি কি আমার উপাস্যদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচছ? যদি তুমি বিরত না হও, আমি অবশ্যই প্রস্তরাঘাতে তোমার প্রাণনাশ করব। তুমি
চিরতরে আমার কাছ থেকে দূর হয়ে যাও।
১৯.৪৭ ) ইবরাহীম বললেন: তোমার উপর শান্তি হোক, আমি আমার পালনকর্তার কাছে তোমার জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করব। নিশ্চয়
তিনি আমার প্রতি মেহেরবান।
১৯.৪৮ ) আমি পরিত্যাগ করছি তোমাদেরকে এবং তোমরা আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের এবাদত কর তাদেরকে; আমি আমার পালনকর্তার এবাদত করব। আশা
করি, আমার পালনকর্তার এবাদত করে আমি বঞ্চিত হব না।
১৯.৪৯ ) অত:পর তিনি যখন তাদেরকে এবং তার আল্লাহ্ ব্যতীত যাদের এবাদত করত, তাদের সবাইকে পরিত্যাগ করলেন, তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং প্রত্যেককে নবী করলাম।
১৯.৫০ ) আমি তাদেরকে দান করলাম আমার অনুগ্রহ এবং তাদেরকে দিলাম সমুচচ সুখ্যাতি।
১৯.৫১ ) এই কিতাবে মূসার কথা বর্ণনা করুন, তিনি ছিলেন মনোনীত এবং তিনি ছিলেন রাসূল, নবী।
১৯.৫২ ) আমি তাকে আহবান করলাম তূর পাহাড়ের ডান দিক থেকে এবং গুঢ়তত্ত্ব আলোচনার উদ্দেশে তাকে নিকটবর্তী করলাম।
১৯.৫৩ ) আমি নিজ অনুগ্রহে তাঁকে দান করলাম তাঁর ভাই হারুনকে নবীরূপে।
১৯.৫৪ ) এই কিতাবে ইসমাঈলের কথা বর্ণনা করুন, তিনি প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রসূল, নবী।
১৯.৫৫ ) তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্তদনীয় ছিলেন।
১৯.৫৬ ) এই কিতাবে ই™্রীসের কথা আলোচনা করুন, তিনি ছিলেন সত্যবাদী নবী।
১৯.৫৭ ) আমি তাকে উচেচ উন্নীত করেছিলাম।
১৯.৫৮ ) এরাই তারা-নবীগণের মধ্য থেকে যাদেরকে আল্লাহ্ তা'আলা নেয়ামত দান করেছেন। এরা
আদমের বংশধর এবং যাদেরকে আমি নূহের সাথে নৌÍকায় আরোহন করিয়েছিলাম, তাদের বংশধর, এবং ইবরাহীম ও ইসরাঈলের বংশধর এবং যাদেরকে আমি পথ প্রদর্শন করেছি ও মনোনীত করেছি, তাদের বংশোদ্ভূত। তাদের
কাছে যখন দয়াময় আল্লাহ্র আয়াতসমূহ পাঠ করা হত, তখন তারা সেজদায় লুটিয়ে পড়ত এবং ক্রন্তদন করত।
১৯.৫৯ ) অত:পর তাদের পরে এল অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা
নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং
তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে।
১৯.৬০ ) কিন্তূ তারা ব্যতীত, যারা তওবা করেছে, বিশ্বাস স্থাপন করেছে। সুতরাং
তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং তাদের উপর কোন জুলুম করা হবে না।
১৯.৬১ ) তাদের স্থায়ী বসবাস হবে যার ওয়াদা দয়াময় আল্লাহ্ তাঁর বান্তদাদেরকে অদৃশ্যভাবে দিয়েছেন। অবশ্যই
তাঁর ওয়াদার তারা পৌঁÍছাবে।
১৯.৬২ ) তারা সেখানে সালাম ব্যতীত কোন অসার কথাবার্তা শুনবে না এবং সেখানে সকাল-সন্ধ্যা তাদের জন্যে রুযী থাকবে।
১৯.৬৩ ) এটা ঐ জান্নাত যার অধিকারী করব আমার বান্তদাদের মধ্যে পরহেযগারদেরকে।
১৯.৬৪ ) (জিব্রাইল বলল:) আমি আপনার পালনকর্তার আদেশ ব্যতীত অবতরণ করি না, যা আমাদের সামনে আছে, যা আমাদের পশ্চাতে আছে এবং যা এ দুই-এর মধ্যস্থলে আছে, সবই তাঁর এবং আপনার পালনকর্তা বি¯মৃত হওয়ার নন।
১৯.৬৫ ) তিনি নভোমন্ডল, ভূমন্ডলে এতদুভয়ের মধ্যবর্তী সবার পালনকর্তা। সুতরাং
তাঁরই বন্তেদগী করুন এবং তাতে দৃঢ় থাকুন আপনি কি তাঁর সমনাম কাউকে জানেন?
১৯.৬৬ ) মানুষ বলে: আমার মৃত্যু হলে পর আমি কি জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হব?
১৯.৬৭ ) মানুষ কি স¥রণ করে না যে, আমি তাকে ইতি পূর্বে সৃষ্টি করেছি এবং সে তখন কিছুই ছিল না।
১৯.৬৮ ) সুতরাং আপনার পালনকর্তার কসম, আমি অবশ্যই তাদেরকে এবং শয়তানদেরকে একত্রে সমবেত করব, অত:পর অবশ্যই তাদেরকে নতজানু অবস্থায় জাহান্নামের চারপাশে উপস্থিত করব।
১৯.৬৯ ) অত:পর প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে যে দয়াময় আল্লাহ্র সর্বাধিক অবাধ্য আমি অবশ্যই তাকে পৃথক করে নেব।
১৯.৭০ ) অত:পর তাদের মধ্যে যারা জাহান্নামে প্রবেশের অধিক যোগ্য, আমি তাদের বিষয়ে ভালোভাবে জ্ঞাত আছি।
১৯.৭১ ) তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যে তথায় পৌÍছবে না। এটা
আপনার পালনকর্তার অনিবার্য ফায়সালা।
১৯.৭২ ) অত:পর আমি পরহেযগারদেরকে উদ্ধার করব এবং জালেমদেরকে সেখানে নতজানু অবস্থায় ছেড়ে দেব।
১৯.৭৩ ) যখন তাদের কাছে আমার সু¯পষ্ট আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করা হয়, তখন কাফেররা মুমিনদেরকে বলে: দুই দলের মধ্যে কোনটি মর্তবায় শ্রেন্ঠ এবং কার মজলিস উত্তম?
১৯.৭৪ ) তাদের পূর্বে কত মানব গোন্ঠীকে আমি বিনাশ করেছি, তারা তাদের চাইতে স¤পদে ও জাঁক-জমকে শ্রেন্ঠ ছিল।
১৯.৭৫ ) বলুন, যারা পথভ্রষ্টতায় আছে, দয়াময় আল্লাহ্ তাদেরকে যথেষ্ট অবকাশ দেবেন; এমনকি অবশেষে তারা প্রত্যক্ষ করবে যে বিষয়ে তাদেরকে ওয়াদা দেয়া হচেছ, তা আযাব হোক অথবা কেয়ামতই হোক। সুতরাং
তখন তারা জানতে পারবে কে মর্তবায় নিকৃষ্ট ও দলবলে দূর্বল।
১৯.৭৬ ) যারা সৎপথে চলে আল্লাহ্ তাদের পথপ্রাপ্তি বৃদ্ধি করেন এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ তোমার পালনকর্তার কাছে সওয়াবের দিক দিয়ে শ্রেন্ঠ এবং প্রতিদান হিসেবেও শ্রেষ্ট।
১৯.৭৭ ) আপনি কি তাকে লক্ষ্য করেছেন যে, আমার নিদর্শনাবলীতে বিশ্বাস করে না এবং বলে: আমাকে অর্থ-স¤পদ ও সন্তÍান-সন্ততি অবশ্যই দেয়া হবে।
১৯.৭৮ ) সে কি অদৃশ্য বিষয় জেনে ফেলেছে, অথবা দয়াময় আল্লাহ্র নিকট থেকে কোন প্রতিশ্রুতি প্রাপ্ত হয়েছে?
১৯.৭৯ ) না, এটা ঠিক নয়। সে
যা বলে আমি তা লিখে রাখব এবং তার শাস্তি দীর্ঘায়িত করতে থাকব।
১৯.৮০ ) সে যা বলে, মৃত্যুর পর আমি তা নিয়ে নেব এবং সে আমার কাছে আসবে একাকী।
১৯.৮১ ) তারা আল্লাহ্ ব্যতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।
১৯.৮২ ) কখনই নয়, তারা তাদের এবাদত অ¯¦ীকার করবে এবং তাদের বিপক্ষে চলে যাবে।
১৯.৮৩ ) আপনি কি লক্ষ্য করেননি যে, আমি কাফেরদের উপর শয়তানদেরকে ছেড়ে দিয়েছি। তারা
তাদেরকে বিশেষভাবে (মন্তদকর্মে) উৎসাহিত করে।
১৯.৮৪ ) সুতরাং তাদের ব্যাপারে আপনি তাড়াহুড়া করবেন না। আমি
তো তাদের গণনা পূর্ণ করছি মাত্র।
১৯.৮৫ ) সেদিন দয়াময়ের কাছে পরহেযগারদেরকে অতিথিরূপে সমবেত করব,
১৯.৮৬ ) এবং অপরাধীদেরকে পিপাসার্ত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাব।
১৯.৮৭ ) যে দয়াময় আল্লাহ্র কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছে, সে ব্যতীত আর কেউ সুপারিশ করার অধিকারী হবে না।
১৯.৮৮ ) তারা বলে: দয়াময় আল্লাহ্ সন্তান গ্রহণ করেছেন।
১৯.৮৯ ) নিশ্চয় তোমরা তো এক অদ্ভুত কান্ড করেছ।
১৯.৯০ ) হয় তো এর কারণেই এখনই নভোমন্ডল ফেটে পড়বে, পৃথিবী খন্ড-বিখন্ড হবে এবং পর্বতমালা চূর্ণ-বিচুর্ণ হবে।
১৯.৯১ ) এ কারণে যে, তারা দয়াময় আল্লাহ্র জন্যে সন্তান আহবান করে।
১৯.৯২ ) অথচ সন্তান গ্রহণ করা দয়াময়ের জন্য শোভনীয় নয়।
১৯.৯৩ ) নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলে কেউ নেই যে, দয়াময় আল্লাহ্র কাছে দাস হয়ে উপস্থিত হবে না।
১৯.৯৪ ) তাঁর কাছে তাদের পরিসংখ্যান রয়েছে এবং তিনি তাদেরকে গণনা করে রেখেছেন।
১৯.৯৫ ) কেয়ামতের দিন তাদের সবাই তাঁর কাছে একাকী অবস্থায় আসবে।
১৯.৯৬ ) যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম স¤পাদন করে, তাদেরকে দয়াময় আল্লাহ্ ভালবাসা দেবেন।
১৯.৯৭ ) আমি কোরআনকে আপনার ভাষায় সহজ করে দিয়েছি, যাতে আপনি এর দ্বারা পরহেযগারদেরকে সুসংবাদ দেন এবং কলহকারী সম্প্রদায়কে সতর্ক করেন।
১৯.৯৮ ) তাদের পূর্বে আমি কত মানবগোন্ঠীকে ধ্বংস করেছি। আপনি
কি তাদের কাহারও সাড়া পান, অথবা তাদের ক্ষীনতম আওয়ায ও শুনতে পান?
No comments:
Post a Comment