Tuesday, January 5, 2016

সূরা নাহল বাংলা অনুবাদ

(১৬) নাহলঃ ১২৮
১৬.১ ) আল্লাহ্র নির্দেশ এসে গেছে। অতএব এর জন্যে তাড়াহুড়া করো না। ওরা যেসব শরীক সাব্যস্ত করছে সেসব থেকে তিনি পবিত্র ও বহু উর্ধ্বে।
১৬.২ ) তিনি ¯¦ীয় নির্দেশে বান্তদাদের মধ্যে যার কাছে ইচছা, নির্দেশসহ ফেরেশতাদেরকে এই মর্মে নাযিল করেন যে, হুশিয়ার করে দাও, আমি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। অতএব আমাকে ভয় কর।
১৬.৩ ) যিনি যথাবিধি আকাশরাজি ও ভূ-মন্ডল সৃষ্টি করেছেন। তারা যাকে শরীক করে তিনি তার বহু উর্ধ্বে।
১৬.৪ ) তিনি মানবকে এক ফোটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। এতদসত্বেও সে প্রকাশ্য বিতন্ডাকারী হয়ে গেছে।
১৬.৫ ) চতু®পদ জন্তূকে তিনি সৃষ্টি করেছেন। এতে তোমাদের জন্যে শীত বস্ত্রের উপকরণ আছে। আর অনেক উপকার হয়েছে এবং কিছু সংখ্যককে তোমরা আহার্য্যে পরিণত করে থাক।
১৬.৬ ) এদের দ্বারা তোমাদের স¤মান হয়, যখন বিকালে চারণভূমি থেকে নিয়ে আস এবং সকালে চারণ ভূমিতে নিয়ে যাও।
১৬.৭ ) এরা তোমাদের বোঝা এমন শহর পর্যন্ত বহন করে নিয়ে যায়, যেখানে তোমরা প্রাণান্তকর পরিশ্র্রম ব্যতীত পৌÍছাতে পারতে না। নিশ্চয় তোমাদের প্রভু অত্যন্ত দয়াদ্র, পরম দয়ালু।
১৬.৮ ) তোমাদের আরোহণের জন্যে এবং শোভার জন্যে তিনি ঘোড়া, খচচর ও গাধা সৃষ্টি করেছেন। আর তিনি এমন জিনিস সৃষ্টি করেন যা তোমরা জান না।
১৬.৯ ) সরল পথ আল্লাহ্ পর্যন্ত পৌÍছে এবং পথগুলোর মধ্যে কিছু বক্র পথও রয়েছে। তিনি ইচছা করলে তোমাদের সবাইকে সৎপথে পরিচালিত করতে পারতেন।
১৬.১০ ) তিনি তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন। এই পানি থেকে তোমরা পান কর এবং এ থেকেই উদ্ভিদ উৎপন্ন হয়, যাতে তোমরা পশুচারণ কর।
১৬.১১ ) এ পানি দ্বারা তোমাদের জন্যে উৎপাদন করেন ফসল, যয়তুন, খেজুর, আঙ্গুর ও সর্বপ্রকার ফল। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীলদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
১৬.১২ ) তিনিই তোমাদের কাজে নিয়োজিত করেছেন রাত্রি, দিন, সূর্য এবং চন্তদ্রকে। তারকাসমূহ তাঁরই বিধানের কর্মে নিয়োজিত রয়েছে। নিশ্চয়ই এতে বোধশক্তিস¤পন্নদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।
১৬.১৩ ) তোমাদের জন্যে পৃথিবীতে যেসব রং-বেরঙের বস্তূ ছড়িয়ে দিয়েছেন, সেগুলোতে নিদর্শন রয়েছে তাদের জন্যে যারা চিন্তা-ভাবনা করে।
১৬.১৪ ) তিনিই কাজে লাগিয়ে দিয়েছেন সমুদ্রকে, যাতে তা থেকে তোমরা তাজা মাংস খেতে পার এবং তা থেকে বের করতে পার পরিধেয় অলঙ্কার। তুমি তাতে জলযান সমূহকে পানি চিরে চলতে দেখবে এবং যাতে তোমরা আল্লাহ্র কৃপা অনে¦ষণ কর এবং যাতে তার অনুগ্রহ ¯¦ীকার কর।
১৬.১৫ ) এবং তিনি পৃথিবীর উপর বোঝা রেখেছেন যে, কখনো যেন তা তোমাদেরকে নিয়ে হেলে-দুলে না পড়ে এবং নদী ও পথ তৈরী করেছেন, যাতে তোমরা পথ প্রদর্শিত হও।
১৬.১৬ ) এবং তিনি পথ নির্ণয়ক বহু চিহƒ সৃষ্টি করেছেন, এবং তারকা দ্বারা ও মানুষ পথের নির্দেশ পায়।
১৬.১৭ ) যিনি সৃষ্টি করে, তিনি কি সে লোকের সমতুল্য যে সৃষ্টি করতে পারে না? তোমরা কি চিন্তা করবে না?
১৬.১৮ ) যদি আল্লাহ্র নেয়ামত গণনা কর, শেষ করতে পারবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
১৬.১৯ ) আল্লাহ্ জানেন যা তোমরা গোপন কর এবং যা তোমরা প্রকাশ কর।
১৬.২০ ) এবং যারা আল্লাহ্কে ছেড়ে অন্যদের ডাকে, ওরা তো কোন বস্তূই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত।
১৬.২১ ) তারা মৃত-প্রাণহীন এবং কবে পুনরুত্থিত হবে, জানে না।
১৬.২২ ) আমাদের ইলাহ্ একক ইলাহ্। অনন্তর যারা পরজীবনে বিশ্বাস করে না, তাদের অন্তর সত্যবিমুখ এবং তারা অহংকার প্রদর্শন করেছে।
১৬.২৩ ) নি:সন্তেদহে আল্লাহ্ তাদের গোপন ও প্রকাশ্য যাবতীয় বিষয়ে অবগত। নিশ্চিতই তিনি অহংকারীদের পছন্তদ করেন না।
১৬.২৪ ) যখন তাদেরকে বলা হয়: তোমাদের পালনকর্তা কি নাযিল করেছেন? তারা বলে: পূর্ববর্তীদের কিস্সা-কাহিনী।
১৬.২৫ ) ফলে কেয়ামতের দিন ওরা পূর্ণমাত্রায় বহন করবে ওদের পাপভার এবং পাপভার তাদেরও যাদেরকে তারা তাদের অজ্ঞতাহেতু বিপথগামী কর্ েশুনে নাও, খুবই নিকৃষ্ট বোঝা যা তারা বহন করে।
১৬.২৬ ) নিশ্চয় চক্রান্ত করেছে তাদের পূর্ববর্তীরা, অত:পর আল্লাহ্ তাদের চক্রান্তের ইমারতের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছিলেন। এরপর উপর থেকে তাদের মাথায় ছাদ ধ্বসে পড়ে গেছে এবং তাদের উপর আযাব এসেছে যেখান থেকে তাদের ধারণা ছিল না।
১৬.২৭ ) অত:পর কেয়ামতের দিন তিনি তাদেরকে লাঞ্চিত করবেন এবং বলবেন: আমার অংশীদাররা কোথায়, যাদের ব্যাপারে তোমরা খুব হঠকারিতা করতে ? যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত হয়েছিল তারা বলবে: নিশ্চয়ই আজকের দিনে লাঞ্চনা ও দুর্গতি কাফেরদের জন্যে,
১৬.২৮ ) ফেরেশতারা তাদের জান এমতাঅবস্থায় কবজ করে যে, তারা নিজেদের উপর যুলুম করেছে। তখন তারা অনুগত্য প্রকাশ করবে যে, আমরা তো কোন মন্তদ কাজ করতাম না। হ্যাঁ নিশ্চয় আল্লাহ্ সববিষয় অবগত আছেন, যা তোমরা করতে।
১৬.২৯ ) অতএব, জাহান্নামের দরজসমূহে প্রবেশ কর, এতেই অনন্তকাল বাস কর। আর অহংকারীদের আবাসস্থল কতই নিকৃষ্ট।
১৬.৩০ ) পরহেযগারদেরকে বলা হয়: তোমাদের পালনকর্তা কি নাযিল করেছেন? তারা বলে: মহাকল্যাণ। যারা এ জগতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে কল্যাণ রয়েছে এবং পরকালের গৃহ আরও উত্তম। পরহেযগারদের গৃহ কি চমৎকার?
১৬.৩১ ) সর্বদা বসবাসের উদ্যান, তারা যাতে প্রবেশ করবে। এর পাদদেশে দিয়ে স্রোত¯ি¦নী প্রবাহিত হয়্ তাদের জন্যে তাতে তা-ই রয়েছে, যা তারা চায়্ এমনিভাবে প্রতিদান দেবেন আল্লাহ্র পরহেযগারদেরকে,
১৬.৩২ ) ফেরেশতা যাদের জান কবজ করেন তাদের পবিত্র থাকা অবস্থায়। ফেরেশতারা বলে: তোমাদের প্রতি শাস্তি বর্ষিত হোক। তোমরা যা করতে, তার প্রতিদানে জান্নাতে প্রবেশ কর।
১৬.৩৩ ) কাফেররা কি এখন অপেক্ষা করছে যে, তাদের কাছে ফেরেশতারা আসবে কিংবা আপনার পালনকর্তার নির্দেশ পৌÍছবে? তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছিল। আল্লাহ্ তাদের প্রতি অবিচার করেননি; কিন্তূ তারা ¯¦য়ং নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল।
১৬.৩৪ ) সুতরাং তাদের মন্তদ কাজের শাস্তি তাদেরই মাথায় আপতিত হয়েছে এবং তারা যে ঠ্ৗাÍ৮২৫০;া বি™্রুপ করত, তাই উলেট তাদের উপর পড়েছে।
১৬.৩৫ ) মুশরিকরা বলল: যদি আল্লাহ্ চাইতেন, তবে আমরা তাঁকে ছাড়া কারও এবাদত করতাম না এবং আমাদের পিতৃপুরুষেরাও করত না এবং তাঁর নির্দেশ ছাড়া কোন বস্তূই আমরা হারাম করতাম না। তাদের পূর্ববর্তীরা এমনই করেছে। রাসূলের দায়িত্ব তো শুধুমাত্র সু¯পষ্ট বাণী পৌÍছিয়ে দেয়া।
১৬.৩৬ ) আমি প্রত্যেক উ¤মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহ্র এবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক। অত:পর তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যককে আল্লাহ্ হেদায়েত করেছেন এবং কিছু সংখ্যকের জন্যে বিপথগামিতা অবধারিত হয়ে গেল। সুতরাং তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ মিথ্যারোপকারীদের কিরূপ পরিণতি হয়েছে।
১৬.৩৭ ) আপনি তাদেরকে সুপথে আনতে আগ্রহী হলেও আল্লাহ্ যাকে বিপথগামী করেন তিনি তাকে পথ দেখান না এবং তাদের কোন সাহায্যকারী ও নেই।
১৬.৩৮ ) তারা আল্লাহ্র নামে কঠোর শপথ করে যে, যার মৃত্যু হয় আল্লাহ্ তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন না। অবশ্যই এর পাকাপোক্ত ওয়াদা হয়ে গেছে। কিন্তূ, অধিকাংশ লোক জানে না।
১৬.৩৯ ) তিনি পুনরুজ্জীবিত করবেনই, যাতে যে বিষয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল তা প্রকাশ করা যায় এবং যাতে কাফেরেরা জেনে নেয় যে, তারা মিথ্যাবাদী ছিল।
১৬.৪০ ) আমি যখন কোন কিছু করার ইচছা করি; তখন তাকে কেবল এতটুকুই বলি যে, হয়ে যাও,। সুতরাং তা হয়ে যায়।
১৬.৪১ ) যারা নির্যাতিত হওয়ার পর আল্লাহ্র জন্যে গৃহত্যাগ করেছে, আমি অবশ্যই তাদেরকে দুনিয়াতে উত্তম আবাস দেব এবং পরকালের পুরস্কার তো সর্বাধিক; হায়! যদি তারা জানত।
১৬.৪২ ) যারা দৃঢ়পদ রয়েছে এবং তাদের পালনকর্তার উপর ভরসা করেছে।
১৬.৪৩ ) আপনার পূর্বেও আমি প্রত্যাদেশসহ মানবকেই তাদের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম্ অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে;
১৬.৪৪ ) প্রেরণ করেছিলাম তাদেরকে নির্দেশাবলী ও অবতীর্ণ গ্রন্ত’সহ এবং আপনার কাছে আমি স¥রণিকা অবতীর্ণ করেছি, যাতে আপনি লোকদের সামনে ঐসব বিষয় বিবৃত করেন, যে গুলো তোদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে, যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে।
১৬.৪৫ ) যারা কুচক্র করে, তারা কি এ বিষয়ে ভয় করে না যে, আল্লাহ্ তাদেরকে ভূগর্ভে বিলীন করে দিবেন কিংবা তাদের কাছে এমন জায়গা থেকে আযাব আসবে যা তাদের ধারণাতীত।
১৬.৪৬ ) কিংবা চলাফেরার মধ্যেই তাদেরকে পাকড়াও করবে, তারা তো তা ব্যর্থ করতে পারবে না।
১৬.৪৭ ) কিংবা ভীতি প্রদর্শনের পর তাদেরকে পাকড়াও করবেন? তোমাদের পালনকর্তা তো অত্যন্ত নম্র, দয়ালু।
১৬.৪৮ ) তারা কি আল্লাহ্র সৃজিত বস্তূ দেখে না, যার ছায়া আল্লাহ্র প্রতি বিনীতভাবে সেজদাবনত থেকে ডান ও বাম দিকে ঝুঁকে পড়ে।
১৬.৪৯ ) আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু নভোমন্ডলে আছে এবং যা কিছু ভুমন্ডলে আছে এবং ফেরেশতাগণ; তারা অহংকার করে না।
১৬.৫০ ) তারা তাদের উপর পরাক্রমশালী তাদের পালনকর্তাকে ভয় করে এবং তারা যা আদেশ পায়, তা কর্
ে১৬.৫১ ) আল্লাহ্ বললেন: তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্য তো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর।
১৬.৫২ ) যা কিছু নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলে আছে তা তাঁরই এবাদত করা শাশ্বত কর্তব্য। তোমরা কি আল্লাহ্ ব্যতীত কাউকে ভয় করবে?
১৬.৫৩ ) তোমাদের কাছে যে সমস্ত নেয়ামত আছে, তা আল্লাহ্রই পক্ষ থেকে। অত:পর তোমরা যখন দু:খে-কষ্টে পতিত হও তখন তাঁরই নিকট কান্নাকাটি কর।
১৬.৫৪ ) এরপর যখন আল্লাহ্ তোমাদের কষ্ট দুরীভূত করে দেন, তখনই তোমাদের একদল ¯¦ীয় পালনকর্তার সাথে অংশীদার সাব্যস্ত করতে থাকে।
১৬.৫৫ ) যাতে ঐ নেয়ামত অ¯¦ীকার করে, যা আমি তাদেরকে দিয়েছি। অতএব মজা ভোগ করে নাও-সতঁরই তোমরা জানতে পারবে।
১৬.৫৬ ) তারা আমার দেয়া জীবনোপকরণ থেকে তাদের জন্যে একটি অংশ নির্ধারিত করে, যাদের কোন খবরই তারা রাখে না। আল্লাহ্র কসম, তোমরা যে অপবাদ আরোপ করছ, সে স¤পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।
১৬.৫৭ ) তারা আল্লাহ্র জন্যে কন্যা সন্তান নির্ধারণ করে-তিনি পবিত্র মহিমানি¦ত এবং নিজেদের জন্যে ওরা তাই স্থির করে যা ওরা চায়।
১৬.৫৮ ) যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তারা মুখ কাল হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে।
১৬.৫৯ ) তাকে শোনানো সুসংবাদের দু:খে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে, না তাকে মাটির নীচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখ, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।
১৬.৬০ ) যারা পরকাল বিশ্বাস করে না, তাদের উদাহরণ নিকৃষ্ট এবং আল্লাহ্র উদাহরণই মহান, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
১৬.৬১ ) যদি আল্লাহ্ লোকদেরকে তাদের অন্যায় কাজের কারণে পাকড়াও করতেন, তবে ভুপৃন্ঠে চলমান কোন কিছুকেই ছাড়তেন না। কিন্তূ তিনি প্রতিশ্রুতি সময় পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দেন। অত:পর নির্ধারিত সময়ে যখন তাদের মৃত্যু এসে যাবে, তখন এক মুহুর্তও বিল¤ি¦ত কিংবা তরা¤ি¦ত করতে পারবে না।
১৬.৬২ ) যা নিজেদের মন চায় না তারই তারা আল্লাহ্র জন্যে সাব্যস্ত করে এবং তাদের জিহবা মিথ্যা বর্ণনা করে যে, তাদের জন্যে রয়েছে কল্যাণ। ¯¦ত:সিদ্ধ কথা যে, তাদের জন্যে রয়েছে আগুন এবং তাদেরকেই সর্বাগ্রে নিক্ষেপ করা হবে।
১৬.৬৩ ) আল্লাহ্র কসম, আমি আপনার পূর্বে বিভিন্ন সম্প্রদায়ে রাসূল প্রেরণ করেছি, অত:পর শয়তান তাদেরকে কর্ম সমূহ শোভনীয় করে দেখিয়েছে। আজ সেই তাদের অভিভাবক এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত¿ণাদায়ক শাস্তি।
১৬.৬৪ ) আমি আপনার প্রতি এ জন্যেই গ্রন্ত’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি সরল পথ প্রদর্শনের জন্যে তাদের কে পরি®কার বর্ণনা করে দেন, যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করছে এবং ঈমানদারকে ক্ষমা করার জন্যে।
১৬.৬৫ ) আল্লাহ্ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেছেন, তদ্বারা যমীনকে তার মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত করেছেন। নিশ্চয় এতে তাদের জন্যে নিদর্শন রয়েছে, যারা শ্রবণ করে।
১৬.৬৬ ) তোমাদের জন্যে চতু¯পদ জন্তূদের মধ্যে চিন্তা করার অবকাশ রয়েছে। আমি তোমাদেরকে পান করাই তাদের উদরস্থিত বস্তূসমুহের মধ্যে থেকে গোবর ও রক্ত নি:সৃত দ্ৗুÍ৭১০; যা পানকারীদের জন্যে উপাদেয়।
১৬.৬৭ ) এবং খেজুর বৃক্ষ ও আঙ্গুর ফল থেকে তোমরা মধ্য ও উত্তম খাদ্য তৈরী করে থাক, এতে অবশ্যই বোধশক্তি স¤পন্ন সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
১৬.৬৮ ) আপনার পালনকর্তা মধু মক্ষিকাকে আদেশ দিলেন: পর্বতগাহ্রে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর,
১৬.৬৯ ) এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উ¤মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।
১৬.৭০ ) আল্লাহ্ তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন এরপর তোমাদের মৃত্যুদান করেন। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ পৌÍছে যায় জরাগ্রস্ত অকর্মন্য বয়সে, ফলে যা কিছু তারা জানত সে স¤পর্কে তারা সজ্ঞান থাকবে না। নিশ্চয় আল্লাহ্ সু-বিজ্ঞ সর্বশক্তিমান।
১৬.৭১ ) আল্লাহ্ তা'আলা জীবনোপকরণে তোমাদের একজনকে অন্যজনের চাইতে শ্রেষ্টত্ব দিয়েছেন। অতএব যাদেরকে শ্রেন্ঠত্ব দেয়া হয়েছে, তারা তাদের অধীনস্থ দাস-দাসীদেরকে ¯¦ীয় জীবিকা থেকে এমন কিছু দেয় না, যাতে তারা এ বিষয়ে তাদের সমান হয়ে যাবে। তবে কি তারা আল্লাহ্র নেয়ামত অ¯¦ীকার করে।
১৬.৭২ ) আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে তোমাদেরই শ্রেণী থেকে জোড়া পয়দা করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে তোমাদেরকে পুত্র ও পৌÍত্রাদি দিয়েছেন এবং তোমাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ দান করেছেন। অতএব তারা কি মিথ্যা বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহ অ¯¦ীকার করে?
১৬.৭৩ ) তারা আল্লাহ্ ব্যতীত এমন বস্তূর ইবাদত করে, যে তাদের জন্যে ভুমন্ডল ও নভোমন্ডল থেকে সামান্য রুযী দেওয়ার ও অধিকার রাখে না এবং মুক্তি ও রাখে না।
১৬.৭৪ ) অতএব, আল্লাহ্র কোন সদৃশ সাব্যস্ত করো না, নিশ্চয় আল্লাহ্ জানেন এবং তোমরা জান না।
১৬.৭৫ ) আল্লাহ্ একটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, অপরের মালিকানাধীন গোলামের যে, কোন কিছুর উপর শক্তি রাখে না এবং এমন একজন যাকে আমি নিজের পক্ষ থেকে চমৎকার রুযী দিয়েছি। অতএব, সে তা থেকে ব্যয় করে গোপনে ও প্রকাশ্যে উভয়ে কি সমান হয়? সব প্রশংসা আল্লাহ্র, কিন্তূ অনেক মানুষ জানে না।
১৬.৭৬ ) আল্লাহ্ আরেকটি দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন, দু'ব্যক্তির, একজন বোবা কোন কাজ করতে পারে না। সে মালিকের উপর বোঝা। যেদিকে তাকে পাঠায়, কোন সঠিক কাজ করে আসে না। সে কি সমান হবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায় বিচারের আদেশ করে এবং সরল পথে কায়েম রয়েছে।
১৬.৭৭ ) নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের গোপন রহস্য আল্লাহ্র কাছেই রয়েছে। কিয়ামতের ব্যাপারটি তো এমন, যেমন চোখের পলক অথবা তার চাইতেও নিকটবর্তী। নিশ্চয় আল্লাহ্ সব কিছুর উপর শক্তিমান।
১৬.৭৮ ) আল্লাহ্ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ ¯¦ীকার কর।
১৬.৭৯ ) তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ্ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসীদের জন্যে নিদর্শনবলী রয়েছে।
১৬.৮০ ) আল্লাহ্ করে দিয়েছেন তোমাদের গৃহকে অবস্থানের জায়গা এবং চতু¯পদ জন্তূর চামড়া দ্বারা করেছেন তোমার জন্যে তাঁবুর ব্যবস্থা। তোমরা এগুলোকে সফরকালে ও অবস্থান কালে পাও। ভেড়ার পশম, উটের বাবরি চুল ও ছাগলের লোম দ্বারা কত আসবাবপত্র ও ব্যবহারের সামগ্রী তৈরী করেছেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।
১৬.৮১ ) আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে সৃজিত বস্তূ দ্বারা ছায়া করে দিয়েছেন এবং পাহাড় সমূহে তোমাদের জন্যে আত গোপনের জায়গা করেছেন এবং তোমাদের জন্যে পোশাক তৈরী করে দিয়েছেন, যা তোমাদেরকে গ্রী®ম এবং বিপদের সময় রক্ষা করে। এমনিভাবে তিনি তোমাদের প্রতি ¯¦ীয় অনুগ্রহের পূর্ণতা দান করেন, যাতে তোমরা আতœসমর্পণ কর।
১৬.৮২ ) অত:পর যদি তারা পৃন্ঠ প্রদর্শন করে, তবে আপনার কাজ হল সু¯পষ্ট ভাবে পৌÍছে দেয়া মাত্র।
১৬.৮৩ ) তারা আল্লাহ্র অনুগ্রহ চিনে, এরপর অ¯¦ীকার করে এবং তাদের অধিকাংশই অকৃতজ্ঞ।
১৬.৮৪ ) যেদিন আমি প্রত্যেক উ¤মত থেকে একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব, তখন কাফেরদেরকে অনুমতি দেয়া হবে না এবং তাদের তওবা ও গ্রহণ করা হবে না।
১৬.৮৫ ) যখন জালেমরা আযাব প্রত্যক্ষ করবে, তখন তাদের থেকে তা লঘু করা হবে না এবং তাদেরকে কোন অবকাশ দেয়া হবে না।
১৬.৮৬ ) মুশরিকরা যখন ঐ সব বস্তূকে দেখবে, যেসবকে তারা আল্লাহ্র সাথে শরীক সাব্যস্ত করেছিল, তখন বলবে: হে আমাদের পালনকর্তা এরাই তারা যারা আমাদের শেরেকীর উপাদান, তোমাকে ছেড়ে আমরা যাদেরকে ডাকতাম। তখন ওরা তাদেরকে বলবে: তোমরা মিথ্যাবাদী।
১৬.৮৭ ) সেদিন তারা আল্লাহ্র সামনে আতœসমর্পন করবে এবং তারা যে মিথ্যা অপবাদ দিত তা বি¯মৃত হবে।
১৬.৮৮ ) যারা কাফের হয়েছে এবং আল্লাহ্র পথে বাধা সৃষ্টি করেছে, আমি তাদেরকে আযাবের পর আযাব বাড়িয়ে দেব। কারণ, তারা অশান্তি সৃষ্টি করত।
১৬.৮৯ ) সেদিন প্রত্যেক উ¤মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী ¯¦রূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্ত’ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তূর সু¯পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ।
১৬.৯০ ) আল্লাহ্ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ এবং আতœীয়-¯¦জনকে দান করার আদেশ দেন এবং তিনি অশ্লীলতা, অসঙ্গত কাজ এবং অবাধ্যতা করতে বারণ করেন। তিনি তোমাদের উপদেশ দেন যাতে তোমরা স¥রণ রাখ।
১৬.৯১ ) আল্লাহ্র নামে অঙ্গীকার করার পর সে অঙ্গীকার পূর্ণ কর এবং পাকাপাকি কসম করার পর তা ভঙ্গ করো না, অথচ তোমরা আল্লাহকে জামিন করেছ। তোমরা যা কর আল্লাহ্ তা জানেন।
১৬.৯২ ) তোমরা ঐ মহিলার মত হয়ো না, যে পরিশ্রমের পর কাটা সূতা টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেলে, তোমরা নিজেদের কসমসমূহকে পার¯পরিক প্রবঞ্চনার বাহানা রূপে গ্রহণ কর এজন্যে যে, অন্য দল অপেক্ষা এক দল অধিক ক্ষমতাবান হয়ে যায়। এতদ্বারা তো আল্লাহ্ শুধু তোমাদের পরীক্ষা করেন। আল্লাহ্ অবশ্যই কিয়ামতের দিন প্রকাশ করে দেবেন, যে বিষয়ে তোমরা কলহ করতে।
১৬.৯৩ ) আল্লাহ্ ইচছা করলে তোমাদের সবাইকে এক জাতি করে দিতে পারতেন, কিন্তূ তিনি যাকে ইচছা বিপথগামী করেন এবং যাকে ইচছা পথ প্রদর্শন করেন। তোমরা যা কর সে বিষয়ে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।
১৬.৯৪ ) তোমরা ¯¦ীয় কসমসমূহকে পার¯পরিক কলহ দ্বন্তেদ্বর বাহানা করো না। তা হলে দৃঢ়ভাবে প্রতিন্ঠিত হওয়ার পর পা ফসকে যাবে এবং তোমরা শাস্তির ¯¦াদ আ¯¦াদন করবে এ কারণে যে, তোমরা আমার পথে বাধা দান করেছ এবং তোমাদের কঠোর শাস্তি হবে।
১৬.৯৫ ) তোমরা আল্লাহ্র অঙ্গীকারের বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ্র কাছে যা আছে, তা উত্তম তোমাদের জন্যে, যদি তোমরা জ্ঞানী হও।
১৬.৯৬ ) তোমাদের কাছে যা আছে নি:শেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহ্র কাছে যা আছে, কখনও তা শেষ হবে না। যারা সবর করে, আমি তাদেরকে প্রাপ্য প্রতিদান দেব তাদের উত্তম কর্মের প্রতিদান ¯¦রূপ যা তারা করত।
১৬.৯৭ ) যে সৎকর্ম স¤পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুর®কার দেব যা তারা করত।
১৬.৯৮ ) অতএব, যখন আপনি কোরআন পাঠ করেন তখন বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ্র আশ্রয় গ্রহণ করুন।
৯৯ ) তার আধিপত্য চলে না তাদের উপর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং আপন পালন কর্তার উপর ভরসা রাখে।
১৬.১০০ ) তার আধিপত্য তো তাদের উপরই চলে, যারা তাকে বন্ধু মনে করে এবং যারা তাকে অংশীদার মানে।
১৬.১০১ ) এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ্ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে স¤পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলে: আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না।
১৬.১০২ ) বলুন, একে পবিত্র ফেরেশতা পালনকর্তার পক্ষ থেকে নিশ্চিত সত্যসহ নাযিল করেছেন, যাতে মুমিনদেরকে প্রতিন্ঠিত করেন এবং এটা মুসলমানদের জন্যে পথ নির্দেশ ও সু-সংবাদ ¯¦রূপ।
১৬.১০৩ ) আমি তো ভালভাবেই জানি যে, তারা বলে: তাকে জনৈক ব্যক্তি শিক্ষা দেয়। যার দিকে তারা ইঙ্গিত করে, তার ভাষা তো আরবী নয় এবং এ কোরআন পরি®কার আরবী ভাষায়।
১৬.১০৪ ) যারা আল্লাহ্র কথায় বিশ্বাস করে না, তাদেরকে আল্লাহ্ পথ প্রদর্শন করেন না এবং তাদের জন্যে রয়েছে যন্ত¿ণাদায়ক শাস্তি।
১৬.১০৫ ) মিথ্যা কেবল তারা রচনা করে, যারা আল্লাহ্র নিদর্শনে বিশ্বাস করে না এবং তারাই মিথ্যাবাদী।
১৬.১০৬ ) যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উ¤মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহ্র গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি।
১৬.১০৭ ) এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ্ অবিশ্বাসীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।
১৬.১০৮ ) এরাই তারা, আল্লাহ্ তা'য়ালা এদেরই অন্তর, কর্ণ ও চক্ষুর উপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং এরাই কান্ড জ্ঞানহীন।
১৬.১০৯ ) বলাবাহুল্য পরকালে এরাই ক্ষতি গ্রস্ত হবে।
১৬.১১০ ) যারা দু:খ-কষ্ট ভোগের পর দেশত্যাগী হয়েছে অত:পর জেহাদ করেছে, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা এসব বিষয়ের পরে অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
১৬.১১১ ) যেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি আতœ-সমর্থনে সওয়াল জওয়াব করতে করতে আসবে এবং প্রত্যেক ব্যক্তি তাদের কৃতকর্মের পূর্ণ ফল পাবে এবং তাদের উপর জুলুম করা হবে না।
১৬.১১২ ) আল্লাহ্ দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন একটি জনপদের, যা ছিল নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত, তথায় প্রত্যেক জায়গা থেকে আসত প্রচুর জীবনোপকরণ। অত:পর তারা আল্লাহ্র নেয়ামতের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করল। তখন আল্লাহ্ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের কারণে ¯¦াদ আ¯¦াদন করালেন, ক্ষুধা ও ভীতির।
১৬.১১৩ ) তাদের কাছে তাদের মধ্য থেকেই একজন রাসূল আগমন করেছিলেন। অনন্তর ওরা তাঁর প্রতি মিথ্যারোপ করল। তখন আযাব এসে তাদরকে পাকড়াও করল এবং নিশ্চিতই ওরা ছিল পাপাচারী।
১৬.১১৪ ) অতএব, আল্লাহ্ তোমাদেরকে যেসব হালাল ও পবিত্র বস্তূ দিয়েছেন, তা তোমরা আহার কর এবং আল্লাহ্র অনুগ্রহের জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর যদি তোমরা তাঁরই এবাদতকারী হয়ে থাক।
১৬.১১৫ ) অবশ্যই আল্লাহ্ তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন রক্ত, শুকরের মাংস এবং যা জবাই কালে আল্লাহ্ ছাড়া অন্যের নাম উচচারণ করা হয়েছে। অত:পর কেউ সীমালঘন কারী না হয়ে নিরুপায় হয়ে পড়লে তবে, আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
১৬.১১৬ ) তোমাদের মুখ থেকে সাধারনত: যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহ্র বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।
১৬.১১৭ ) যৎসামান্য সুখ-সম্ভোগ ভোগ করে নিক। তাদের জন্যে যন্ত¿নাদায়ক শাস্তি রয়েছে।
১৬.১১৮ ) ইহুদীদের জন্যে আমি তো কেবল তাই হারাম করেছিলাম যা ইতিপূর্বে আপনার নিকট উল্লেখ করেছি। আমি তাদের প্রতি কোন জুলুম করিনি, কিন্তূ তারাই নিজেদের উপর জুলুম করত।
১৬.১১৯ ) অনন্তর যারা অজ্ঞতাবশত: মন্তদ কাজ করে, অত:পর তওবা করে এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, আপনার পালনকর্তা এসবের পরে তাদের জন্যে অবশ্যই ক্ষমাশীল, দয়ালু।
১৬.১২০ ) নিশ্চয় ইবরাহীম ছিলেন এক সম্প্রদায়ের প্রতীক, সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে এক আল্লাহ্রই অনুগত এবং তিনি শেরককারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না।
১৬.১২১ ) তিনি তাঁর অনুগ্রহের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকারী ছিলেন। আল্লাহ্ তাঁকে মনোনীত করেছিলেন এবং সরল পথে পরিচালিত করেছিলেন।
১৬.১২২ ) আমি তাঁকে দুনিয়াতে দান করেছি কল্যাণ এবং তিনি পরকালেও সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভূক্ত।
১৬.১২৩ ) অত:পর আপনার প্রতি প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছি যে, ইবরাহীমের দ্বীন অনুসরণ করুন, যিনি একনিন্ঠ ছিলেন এবং শিরককারীদের অন্তর্ভূক্ত ছিলেন না।
১৬.১২৪ ) শনিবার দিন পালন যে, নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা তাদের জন্যেই যারা এতে মতবিরোধ করেছিল। আপনার পালনকর্তা কিয়ামতের দিন তাদের মধ্যে ফয়সালা করবেন যে বিষয়ে তারা মতবিরোধ করত।
১৬.১২৫ ) আপন পালনকর্তার পথের প্রতি আহবান করুন জ্ঞানের কথা বুঝিয়ে ও উপদেশ শুনিয়ে উত্তমরূপে এবং তাদের সাথে বিতর্ক করুন পছন্তদ যুক্ত পন্ত’ায়। নিশ্চয় আপনার পালনকর্তাই ঐ ব্যক্তি স¤পর্কে বিশেষ ভাবে জ্ঞাত রয়েছেন, যে তাঁর পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং তিনিই ভাল জানেন তাদেরকে, যারা সঠিক পথে আছে।
১৬.১২৬ ) আর যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়। যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম।
১৬.১২৭ ) আপনি সবর করবেন। আপনার সবর আল্লাহ্র জন্য ব্যতীত নয়, তাদের জন্যে দু:খ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তের কারণে মন ছোট করবেন না।
১৬.১২৮ ) নিশ্চয় আল্লাহ্ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা পরহেযগার এবং যারা সৎকর্ম করে।

No comments:

Post a Comment